দেশে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) সিলিন্ডার ও ট্যাংকার উৎপাদনে নতুন বিনিয়োগ আসছে। বিভিন্ন খাতের ১৬টি কোম্পানি মিলে এ জন্য ‘স্টার কনসোর্টিয়াম লিমিডেট’ নামের একটি কনসোর্টিয়াম বা জোট গঠন করেছে।
প্রাথমিকভাবে ১ কোটি ২০ লাখ ডলার বা প্রায় ৯৪ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে সিলিন্ডার ও ট্যাংকার উৎপাদনের কারখানা করবে এই জোট। তারা এলপিজি সিলিন্ডার ও ট্যাংকার নির্মাণে সহায়তা নেওয়ার জন্য ইরানের সারভিগ্যাস কোম্পানির সঙ্গে একটি সমঝোতা চুক্তি করেছে।
রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে গতকাল সোমবার এ সমঝোতা চুক্তি সই হয়। সমঝোতা স্মারকে স্টার কনসোর্টিয়ামের পক্ষে এর চেয়ারম্যান আবদুল মাতলুব আহমাদ, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নূর আলী ও সারভিগ্যাসের পক্ষে কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার রাবী স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বাংলাদেশে ইরানের রাষ্ট্রদূত আব্বাস ভায়েজি, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান এ আর খান এবং এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বক্তব্য দেন।
আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, ভবিষ্যতে দেশে ৬০টি কোম্পানি এলপি গ্যাস সরবরাহ করবে। জোটটি সরবরাহ করবে সিলিন্ডার ও ট্যাংকার। এক বছরের মধ্যে সিলিন্ডার বাজারে আসবে বলে জানান মাতলুব আহমাদ।
কনসোর্টিয়ামের সদস্যরা হলো—পেডরোলো এন কে হোল্ডিংস, ক্রাউন গ্রুপ অ্যান্ড জিপিএইচ ইস্পাত, ইউনিক-বোরাক গ্রুপ, নিটল-নিলয় গ্রুপ, ক্রাউন স্টিল, ইন্টিগ্রেটেড ল্যান্ড অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট, এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন, ক্যাথারিস ডেভেলপমেন্ট, ইনসেপ্টা ফার্মা, মহসিন টি হোল্ডিংস, উইলশেয়ার, ইলেকট্রো মার্ট, রেস ম্যানেজমেন্ট, সাদ মূসা গ্রুপ, দাতো এবিডি নূর হোল্ডিংস এসডিএন বিএইচডি ও জাপান ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট।
সারভিগ্যাস ইরানের বুটান গ্রুপের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান। তারা গ্যাস, সিলিন্ডার, পরিবহন ও মজুতের ট্যাংকার তৈরি করে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, ‘ইরানের সঙ্গে এটিই সবচেয়ে বড় যৌথ উদ্যোগ। আমরা চাই, এর মাধ্যমে গভীর বাণিজ্য সম্পর্কের শুরু হোক।’
তৌফিক-ই-ইলাহী বলেন, এলপিজি উৎপাদনে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। আগামী বছরের শেষে পাইপলাইনে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস বা এলএনজি সরবরাহ শুরু হবে।
বাংলাদেশের তেল ও গ্যাস আমদানির ক্ষেত্রে ইরান বড় উৎস হতে পারে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত আব্বাস ভায়েজি।
EmoticonEmoticon